কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী কলাপাড়ায় পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু প্রতিরোধে নারী সহকর্মীদের সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় উপজেলা সিআইপিআরবি প্রকল্প কার্যালয়ে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আঁচল মায়েদের সম্মাননাপত্র প্রদান করা হয়। বরিশাল বিভাগে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে ২০১৭ সাল থেকে ‘ভাসা’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সিআইপিআরবি।
আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নে যুক্ত রয়েছে রয়্যাল ন্যাশনাল লাইফবোট ইনস্টিটিউশন (RNLI), যুক্তরাজ্য, আইল অফ ম্যান গভর্মেন্ট ও প্রিন্সেস শার্লিন অফ মোনাকো ফাউন্ডেশন।
এ প্রকল্পের অন্যতম কার্যক্রম ‘আঁচল- শিশুযত্ন কেন্দ্র’ যা ১-৫ বছর বয়সী শিশুদের নিরাপদ রাখতে ও তাদের প্রারম্ভিক বিকাশ নিশ্চিত করতে পরিচালিত হচ্ছে।
নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কার্যক্রম পরিচালনায় মূখ্য ভুমিকা পালন করে আসছে শিশুদের অতি প্রিয় ‘আঁচল মা’।
নিজের সন্তানের মত করেই পরম মমতা ও যত্নের পাশাপাশি পেশাগত দক্ষতার সাথে আচঁল শিশুদের দেখাশোনা করছেন ‘আঁচল মা’ নামের শিশু যত্নকারীগণ ।
তাদের অনন্য অবদানকে শ্রদ্ধা ও স্বীকৃতি জানাতে সম্মাননাপত্র প্রদান করে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৪ উদযাপন করেছে সিআইপিআরবি।
কলাপাড়া উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা তাছলিমা বেগম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আঁচল মায়েদের সম্মাননাপত্র প্রদান করেন।
এ ছাড়াও সিআইপিআরবি ভাসা প্রকল্পের ফিল্ড টিম ম্যানেজার, মোঃ মোতাহের হোসাইন, এরিয়া কো-অর্ডিনেটর মোঃ মনির হোসেন এবং তারিকুল হাসান এবং অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “আঁচলে কাজ করার মাধ্যমে নারীদের যে পারিবারিক, সামাজিক যে ক্ষমতায়ন হয়েছে তা প্রশংসানীয়।
সিআইপিআরবি সংস্থাকে নারী দিবসে আচঁল মায়েদের সম্মাননা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ এবং কৃতঙ্গতা” আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৪ এর প্রতিপাদ্য ‘নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ’- ইতোমধ্যেই ভাসা প্রকল্পের বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়ে আসছে।
বর্তমানে এ প্রকল্পের অধীনে পরিচালিত ৫০০ আঁচল কেন্দ্রে কমিউনিটি পর্যায়ের প্রায় ১০০০ নারী কর্মরত আছেন যাদের অধিকাংশেরই রয়েছে সংগ্রামী জীবনের গল্প। আঁচল পরিচালনা থেকে প্রাপ্ত সম্মানীর অর্থ তাদের অর্থনৈতিক, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের ভীত মজবুত করতে সহায়ক হয়েছে।